রহস্যময় সাইলেন্স জোন এর আসল রহস্য (মেক্সিকো)

পৃথিবীর রহস্যের ভরা জায়গার নাম হচ্ছে জোন অব সাইলেন্স

পৃথিবীর রহস্যের ভরা জায়গার নাম হচ্ছে জোন অব সাইলেন্স। জোন অব সাইলেন্সকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বহুকাল আগে থেকেই। বিজ্ঞানী হোক বা না হোক, যারা শৌখিন গবেষক তাদের কাছে এখনো এক জীবন্তু রহস্যময় জায়গার নাম এই জোন অব সাইলেন্স।
photo: collected

রহস্যম জোন অব সাইলেন্স বা নীরব ভূমি মেক্সিকোতে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম আলোচিত রহস্যময় জায়গা। এই এলাকার আজব ধরনের বৈশিষ্ট্য আছে। 
আজব রহস্যের আবর্তেনে বন্দি জোন অব সাইলেন্স বা নীরব ভূমি। মেক্সিকোর মরুভূমির নামই হচ্ছে জোন অব সাইলেন্স। এই শূন্য মরুর প্রতি কদমে রয়েছে রহস্যের আনাগোনা ও ভুতুড়ে পরিবেশ।
এই শূন্য ভূমিতে রাতের আঁধারে উল্কা বৃষ্টি হয়। যদি সেখানে কেউ টেপ রেকর্ডার বাজাতে থাকে বা কোন আওয়াজ করে তাহলে হঠাৎ করেই সেটা গায়েব হয়ে যায়। 
এ রহসময়ী এলাকায় অস্বাভাবিক ভাবে গাড়ির থেমে যায়। এই মরুভূমির পোকা-মাকড়গুলোও অস্বাভাবিক আকৃতির হয়।  স্বাভাবিক পোকামাকড়ের চেয়ে দুই-তিনগুণ বড়। জোন অব সাইলেন্সের পাথরগুলোও এমন অদ্ভুত যে কম্পাস পর্যন্ত কাজ করে না। এ এলাকার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় পাইলটরা বলেছেন যে, তাদের সব কিছু কিভাবে যেন খুবই উল্টা পাল্টা মনে হয়। জোন অব সাইলেন্সের এমন আজব  পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে কোনো জনবসতি গড়ে তোলা সম্ভব হয়ে ওঠে নি। এখানকার ভুতূড়ে আলামত দেখে আজও এই এলাকার মানুষ বিভ্রান্ত হয়।
photo: collected

অদ্ভুত রহস্যময়তার আবর্তে বন্দি জোন অব সাইলেন্স বা নীরব ভূমি । মেক্সিকো মরুভূমির নামই জোন অব সাইলেন্স । এই নীরব মরুর প্রতি কদমে রহস্যের আনাগোনা । এখানে রয়েছে ঘুটঘুটে অন্ধকার, ভুতুড়ে পরিবেশ । রাতের গুমোট আঁধারে উল্কা বৃষ্টি নামে । টেপরেকর্ডার বাজাতে থাকলে হঠাৎই থেমে যায় । চলন্ত গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায় ।এ জায়গার বড় বড় দৈত্যস্বরুপ ক্যাকটাসগাছগুলো টকটকে লাল রঙের কিন্তু এই গাছগুলোই যখন এই জায়গাটি থেকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করা হয় তখন তা সর্ম্পূনরূপে রং বদলিয়ে যায় বা হারিয়ে ফেলে । এখানকার হরিণগুলো বেঁটে হয় কিন্তু  শিংগুলো মানুষের কবজির মতো মোটা।
১৯৭০ সালে ইউএস এয়ারফোর্স উটাহর গ্রিন রিভার থেকে ‘অ্যাহেনা' নামের একটি মিসাইল নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডের উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। কিন্তু ঐ মিসাইলটি গিয়ে পড়ে ওই ভুতুড়ে মরুভূমিতে। যুক্তরাষ্ট্র বা ইউএস এয়ারফোর্সের মিসাইল সাধারণত লক্ষচ্যুত হতে না দেখা গেলে সেবার উল্টোটাই হয়ে যায়। ইউএফও গবেষণাবিদ এবং লেখক ব্রাডস্টিগার এ ব্যাপারে বলেছিলেন, "এর দুটি কারণ থাকতে পারে। হয় কোনো অজানা শক্তি মিসাইলটি ধ্বংস করেছে নতুবা কোনো ইউএফও তার আন্ডারগ্রাউন্ড বেস থেকে ওটাকে জোন অব সাইলেন্সে টেনে এনেছে।"
এসব কেন হয় তা আজও জানা যায় নি।
photo: collected

জেনে রাখা ভাল রহস্যময়ী ও বিখ্যাত বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল আর জোন অব সাইলেন্স একই অক্ষাংশে । সেন্ট্রাল মেক্সিকোর মাসিপি মরুভূমির দশ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে এই নীরব ভূমি অবস্থিত। 
জোন অব সাইলেন্স এ অাজব আজব সব রহস্য রয়েছে কিন্তু গবেষকরা তা এখনো উদঘাটন করতে সক্ষম হয়নি। তবে তারা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। হয়তো কোন একদিন সাইলেন্স জোনের অজানা সব রহস্যগুলো আমরা জানতে পারব। 
Previous Post Next Post