মাসিকের চারটি করণীয়। মাসিক হলে সন্ধ্যা বা রাতে বের হওয়া উচিত কিনা?

মেয়েদের মাসিককে ইসলামে হায়েয বলা হয়। এর সময় থাকে তিন থেকে ছয় বা সাত দিন। এর বেশি সময় ধরে মাসিক হলে তা রোগে পরিণত হয়।  তাই সাথে সাথে ডাক্তারের সরনাপন্ন হতেই হবে। মাসিক সর্ম্পকিত যেকোন তথ্য খুব গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু অনেকেই আমরা এড়িয়া যায়। আমার কাছে মনে হয় যেকোন তথ্য যদি আমরা বার বার পড়ি তাহলে হয়তো তা প্রতিবারই নতুন নতুন তথ্য আমাদের সামনে উপস্থাপিত হয়। 

আসুন জেনে নেই মাসিক বা হায়েয হলে করণীয়ঃ

১. প্রথম কথা হচ্ছে অবশ্যই নিজের মাসিকের তারিখটাকে লিখে রাখতে বা মার্ক করতে ভুলবেন না।  এতে আমরা সচেতন থাকতে পারি এবং আলাদা একটা প্রস্তুতিও থাকে।

২. অবশ্যই পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ ভাগ। ব্যবহার করা কাপড়টিকে স্যাভলন দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন এবং সন্ধার আগেই ভাগেই ঘরে নিয়ে আসুন। কারণ মাসিকের গন্ধ শয়তান বা জীন যাই বলি না কেন তাদের খুব পছন্দ। এ নিয়ে আপনার শারীরিক সমস্যা ও হতে পারে।

৩. প্যাড ব্যবহারকারীদের জন্য বলতে চাই তিন ঘন্টার বেশি ব্যবহার করবেন না। কারন এটিতে শোষণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মেডিসিন ও ব্যবহার করা হয়। তাই রাতে কমপক্ষে দুই বার প্যাড বদলানো শ্রেয়।

৪. সর্বশেষ এ খাবার নিয়ে একটু বলতে চাই। আর তা হল বেশি করে পানি খাবেন। আঁশ জাতীয় খাবার শাক সবজি মাংস খাবেন৷  মাছটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। কারণ মাছ খেলে মাসিকের রক্তটা থেকে দুর্গন্ধ আসে
অবশেষে এটা বলতে চাই এই ছয় দিন আমাদের জন্য খুব কষ্টকর হলেও নিজেদের খেয়াল নিজেদেরই রাখতে হবে। প্রথম দিন পেটে যে ব্যাথাটা হয় তার জন্য ঔষধ না খেয়ে হালকা গরম পানির ছেক দেয়ার চেষ্টা করুন। সাথে সাথে গরম পানি বা দুধ একবার কি দুবার খান। দেখবেন ভাল লাগবে। খুব পরিষ্কার থাকার চেষ্টা করুন। নিয়মিত গোসল তো অবশ্যই করবেন। 

এখন আসি সন্ধ্যা বা রাতে বের হওয়া নিয়ে। আমার মতামত নিলে বলব না বের হওয়াটা উত্তম। আমরা মানুষের মধ্যে যেমন ভাল খারাপ আছি। তেমনি জীনদের মধ্যেও আছে। তারা আমাদেরকে দেখতে পায়। এবং মেয়েদের হায়যের সময় তারা যেহেতু অপবিএ থাকে তাই তাদের ক্ষতি করতে চায়৷ তাই সন্ধ্যা, রাত, দুপুরে না বের হওয়া উত্তম।

ছবিঃসংগ্রহিত


Previous Post Next Post