কি করে বুঝবেন পাশের ব্যক্তির ইন্তেকাল করাটা ভালো ছিল নাকি কষ্টদায়ক হলো

আজকে সরাসরি আলোচনায় প্রবেশ করতে চাই। কোন ভূমিকা টানতে ইচ্ছুক নই। আল্লাহর রাসূল বিশ্বনবী ও সর্বশ্রেষ্ট মানুষ নবী করিম (সাঃ)  আমাদেরকে সব সময় কম কথা বলার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এখন আসি মূল আলোচনায় ।আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন  "তোমরা মৃত্যুকে ভয় করো।"
দুনিয়াতে থাকা অবস্থায় আপনি কি করে জানবেন আপনার সামনে যে ব্যক্তিটি ইন্তেকাল করল তা ভালো ছিল নাকি কষ্ট দায়ক ছিল।

আলামত নাম্বার ১ 
ইন্তেকাল করার আগে আওয়াজ করে জিকির করা।  অর্থাৎ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলল্লাহ (সাঃ)  পড়া।
নবী করিম (সাঃ) বলেন "যে ব্যক্তিটির শেষ বাক্য হবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সে জান্নাতি হয়ে যাবে।"
সুবহানাল্লাহ। 

আলামত নাম্বার ২ 
নবী (সাঃ) বলেন "মুমিন যখন মারা যায় তার কপাল ঘেমে যায়।"
সুবহানাল্লাহ।
হে আল্লাহ আমরা যখন মারা যাব আমাদের কপালটা যেন এভাবে ঘেমে যায়। আমিন।

আলামত নাম্বার ৩
নবী বলেন " কেউ যদি জুম্মার রাতে মরে, বা কেউ যদি রমজান মাসে মারা যায় বা কেউ যদি হজ্জের সফরে মরে তা হলো মুমিনের জন্য।"
তারা খুশনসি। 

আলামত নাম্বার ৪ 
এরপরে বিশ্বনবী বললেন যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে আল্লার কালেমার বাণীকে উপরে তুলে ধরার জন্য কেউ যদি শাহাদাত বরণ করে শাহাদাতের চাইতে আর ভাল মৃত্যু হয় না।
নবী বলেন " কোন ব্যক্তি যদি আল্লার কাছে মন থেকে শাহাদাতের ফরমান করেন।  আল্লাহ তা কবুল করেন যদিও সে বিছানায় শিয়ে থেকে মারা যায়।
সুবহানাল্লাহ।

আলামত নাম্বার ৫
নবী বলছেন "মুসলিম রাষ্ট্রেে যারা পাহাড়া দেয় প্রতিপক্ষের গুলিতে যদি মারা যায় তাহলে তারা শহীদ। এর চাইতে আর শ্রেষ্ঠ কোন মৃত্যু নেই।
সুবহানাল্লাহ।

আলামত নাম্বার ৬ 
কোন ভাল কাজের উপর মরণ। যেমনঃ নামাজরত অবস্থায় মৃত্য বরণ।
এরকম মৃত্যু সবার কপালে জোটে না।

হে আল্লাহ আমাদের মৃত্যু গুলো এইভাবেই দিও। 
আমিন।




Previous Post Next Post