বাংলাদেশে আরও তিনটি বেসরকারি ব্যাংকের অনুমোদন। মোট হল ৬২টি

ছবিঃ সংগ্রহিত
আবারও নতুন তিনটি বেসরকারি ব্যাংকের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নতুন তিন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়। এ নিয়ে বর্তমান সরকার থাকাকালীন তিন মেয়াদে ১৪টি ব্যাংক অনুমোদন পেল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, পিপলস ও সিটিজেন ব্যাংক নামে নতুন তিন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্যাংকগুলো সচল হতে সময় লাগবে ৪ মাস। বর্তমানে প্রাথমিকভাবে ব্যাংক তিনটিকে লেটার অব ইনটেন্ট দেওয়া হবে। যাকে আগ্রহপএ বলা হয়। তারপর পালা অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার যা শেষে কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবু ফারাহ মো. নাছের সাংবাদিকদের বলেন, “বেঙ্গল কমার্শিয়াল, পিপলস ও সিটিজেন ব্যাংক নামে তিনটি নতুন ব্যাংক অনুমোদনের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। এসকল ব্যাংকগুলোকে  দুই বছরের মধ্যে পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। অনুমোদন পর্যায়ে ব্যাংকগুলোর পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা করে।”
নতুন যেকোন ব্যাংকের অনুমোদন নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশ ব্যাংককে লিখিত ও মৌখিক নির্দেশনা নিতে হয়।
ছবিঃ সংগ্রহিত
২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত মহাজোট সরকারের তিন মেয়াদে এখন পর্যন্ত ১৪টি বেসরকারি ব্যাংকের অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয়  ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংকের মোট সংখ্যা দাড়াল ৬২টি। এখন আওয়ামী লীগের নেতাদের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মানে বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশও পেয়েছে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন। বর্তমানে ব্যাংকের সংখ্যা বাড়লেও অর্ধকের বেশি আছে মারাত্মক নাজুক অবস্থায়।

সূত্রে পাওয়া যায়, গত বছরের ২৯ অক্টোবরই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই তিনটি ব্যাংকের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু নথিপত্রের ঘাটতি থাকায় ওই সময় অনুমোদন দেওয়া হয়নি ব্যাংক তিনটিকে।

সাধারণ কিছু তথ্যঃ
বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। এরশাদ সরকারের সময় (১৯৮২-৯০) সালে ৯টি ব্যাংক অনুমোদন পায়। ১৯৯১-৯৬ সালে বিএনপি সরকারের মেয়াদে নতুন করে ৮টি ব্যাংক অনুমোদন পায়। আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯৯৬-২০০১ সালে  অনুমোদন পায় ১৩টি ব্যাংক। আর ২০০৯ থেকে গতকাল পর্যন্ত তিনবারের মেয়াদে ১৪টি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

Previous Post Next Post