আযান নিয়ে কটুক্তি করায় সনু নিগমের পরিণতি

বলিউডের সঙ্গীত শিল্পী সনু নিগম  অনেক অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে গেছেন। অসংখ্য জনপ্রিয় হিন্দি গানের এই শিল্পীকে যেতে হয়েছে মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালের  আইসিইউতে।

গত কিছুদিন আগে রাতের খাবার খেতে বোম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন সনু । তখন হঠাৎ তিনি নিজের ত্বকে অস্বাভাবিক হারে অ্যালার্জি লক্ষ্য করেন। যা অল্প সময়ের মধ্যে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই চিকিৎসকদের কাছে গেলেও লাভ হয় না। তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হয়। এরপর দ্রুত চিকিৎসার স্বার্থে সনুকে আইসিইউতে রাখতে হয়।

এই অসুস্থতার কারণে গনমাধ্যমে অনেকেরই খুশি হওয়ার ব্যাপারটি দেখা যাচ্ছে। কারণ হিসাবে দায়ী করা যায় ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসের ঘটনাকে।
গায়ক সনু নিগমের দাবি করে বলেছিল সকালের আজানের শব্দে তার কিনা ঘুম ভেঙে যায় এবং সারাদিন খুব খারাপ যায়। এমন কি জ্ঞানহীনতার বসে সে আযানকে গুন্ডাগিরির সাথে তুলনা করে বসে।

সনু নিগমের আযান নিয়ে মন্তব্যটির প্রতিবাদে ভারতের মুসলমান সহ অনেক হিন্দু ধর্মীয়রা বক্তব্য দিয়েছেন।যেমনঃ বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। প্রিয়ঙ্কা বলেছিলেন, ‘প্রতি সন্ধ্যায় আমি আজানের জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি। কোনো দিনই আমি আযান না শুনে থাকতে পারি না। কারণ আজানে আছে একটা অসম্ভব স্বর্গীয় সৌন্দর্য।’
কিন্তু কথা হল সনু নিগাম এর বাসা থেকে আযান এর শব্দই পাওয়াই যেত নাহ ।
আর তার সত্যতা প্রমান করেছিলেন বিবিসির এক সাংবাদিক। প্রমাণে এসেছিল তার বাড়ি থেকে মসজিদের দূরত্ব প্রায় ৬০০ মিটার। আজান শোনা তো দূরের কথা আজান দেয়ার জন্য সে মসজিদে কোনো মাইকই ব্যবহার করা হত না !

সনু নিগমের বাড়ির ডানদিকে যে মাদ্রাসাটি রয়েছে তার ট্রাস্টে কাজ করা হাবিব বলেছিল, তাদের মসজিদে লাউডস্পিকারই ব্যবহার করা হয় না।’
মাদ্রাসা এ নাব্বেয়াহর ট্রাস্টি গুলাম জি বলেছিলেন, “সনু নিগম একসময় এক হাজার টাকার জন্য রাতভর গান গাইতেন। উনি বোধহয় ভুলে গেছেন যে কত লোককে তিনি কষ্ট দিয়েছেন।তিনি আরো বলেন, এখন সব নতুন নতুন গায়ক এর আবির্ভাব হওয়ায় তিনি এখন গাইতে পারছেন না। তাই শুধুমাত্র নিজের প্রচারণার উদ্দেশ্যই  উনি এসব করছেন “।

এই আযান নিয়েই এত  মিথ্যা বানোয়াট কথা রটানোর ফলে আল্লাহ তার ফল দিচ্ছেন বলেই সবাই এতটা খুশি এবং গনমাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন।
আবার কেউ তার জন্য আল্লাহর কাছে মাফ ও চাচ্ছেন।
Previous Post Next Post