জুম্মার সারাদিনের আমল, দোয়া কবুল হওয়ার সময়ঃ
১.পাক পবিত্র থাকা ইমানের অঙ্গ। আর যদি এই পবিত্র থাকার কথা জুমার দিনে আসে তাহলে তো কথাই নেই। জানিয়ে রাখতে চাই জুম্মার দিনে গোসল করা সুন্নত।collected from google image |
২.ফজরের নামাজের সময় ফরজ নামাজে সূরা সাজদা ও সূরা দাহর/ইনসান তিলাওয়াত করা উত্তম।
উত্তম পোশাক পরিধান করা, সুগন্ধি/ আতর ব্যবহার করা, সময়ের আগে মসজিদে যাওয়া এবং ইমামের কাছাকাছি বসা, মনযোগ দিয়ে খুৎবা শোনা। দুই খুৎবার মাঝের সময়ে বেশি বেশি দুয়া করার নির্দেশ করেছেন নবী। তবে এগুলো শুধু জুম্মার দিন ই না বরং সপ্তাহের বাকী ছয়দিন করারও নির্দেশ রয়েছে।
৩.সূরা কাহফ তেলাওয়াত করা। কুরআনের ১৮ নম্বর সূরা হচ্ছে ‘সূরা কাহাফ’। এটি ভয়াবহ ফজিলত বহনকারী একটি সূরা। রাসূল (সাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত নূর হবে। আবার কাহফ সুরার প্রথম ১০ লাইন যার মুখস্ত থাকবে সে ব্যক্তি দাজ্জালের ফিৎনা থেকে মুক্তি পাবে। সুবহানআল্লাহ!
৪. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা। জেনে রাখা উচিত যে আল্লাহ তায়ালা দুই দরূদের মাঝের দোয়া কবুল করেন।
৫. "আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়াসাল্লিম তাসলীমা" রাসূল (সাঃ) বলেছেন যে ব্যক্তি আসর নামাজ পরে কারো সাথে কোন কথা বলে উপরিক্ত দোয়াটি ৮০ বার পড়বে আর আর ৮০ বছরের গোনাহ্ মাফ ও ৮০ বছরের নফল ইবাদাতের সওয়ার দেওয়া হবে। সুবহানআল্লাহ।
এবার আসুন জেনে নেই জুম্মার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার সেই বিশেষ সময় কোনটি
দোয়া আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কখন কবুল করবেন তা আমরা কেউই জানি না । তবে আল্লাহ পাক এই জুমার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার সময়টিকে সন্ধান করতে বলেছেন। এখানে রাসুল (সা.) থেকে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করে যে জুমার দিনে ১২ ঘণ্টা রয়েছে। তাতে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায় আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস নং : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস নং : ১৩৮৯)
জুমার দিন খুবই ফজিলতপূর্ণ একটি দিন। আল্লাহ সুবহানআল্লা তায়ালা যেন আমাদেরকে জুমার দিন ও বাকী ছয় দিন বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করেন।
- আমিন
Tags:
International